তিনি বলেন, সমুদ্র থেকে প্লেনটির যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে ইঞ্জিনেরও কিছু অংশ রয়েছে। আর উদ্ধার করা এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইঞ্জিনের ব্লেডগুলোতে সামান্য ত্রুটি ছিল।
সোমবার (০৫ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় প্লেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় সোয়েরজান্তো বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই নতুন ওই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বিস্তারিত আর কিছু এখনই তিনি বলতে পারছেন না।
যদিও কর্তৃপক্ষ আগেই ধারণা করেছিল যে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, ঘটনার দিনই প্লেনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘লায়ন এয়ার’ এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) অ্যাডওয়ার্ড সিরাত।
তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনার আগের রাতে প্লেনটিতে যে ত্রুটি ছিল প্রকৌশলীরা সেটির সমাধান করেছিলেন। সেইসঙ্গে জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের জন্য সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত করেছিলেন এটিকে।
২৯ অক্টোবর ১৮৯ আরোহী নিয়ে জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর আগে জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি নিখোঁজ হয়।
ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে সোমবার (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। যা মাত্র এক ঘণ্টা পরই ৭টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।
প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
টিএ