ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এমএইচ৩৭০’র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএইচ৩৭০’র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার! উদ্ধার করা ধ্বংসাবেশষ, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই ফ্লাইট এমএইচ৩৭০, যা নিয়ে রহস্য কাটেনি এখনও। প্লেনটির খোঁজে দেশটির তদন্তকারীরা যেমন একেক বার একেক তথ্য দিয়েছেন, তেমনি এখন সাধারণরাও দিচ্ছেন। প্লেনটির খোঁজে এবার নতুন করে আরেক তথ্য দিয়েছেন ওই ফ্লাইটে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা।

তারা দাবি করছেন, হারিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ান বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের কয়েকটি টুকরো পাওয়া গেছে মাদাগাস্কারে। সেখান থেকে তারা এসব উদ্ধার করেছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে।

শুধু তা-ই নয়, স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করে ওই টুকরোগুলো উপস্থাপনও করেছেন সবার সামনে। তাছাড়া দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, যে টুকরোগুলো তারা উদ্ধার করেছেন, তা থেকে প্লেনটির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। এসব টুকরো তাতে যথেষ্ট সহায়তা করবে।

পরে মালয়েশিয়ান সরকারের কাছে টুকরোগুলো অফিসিয়ালি হস্তান্তর করে তারা বলেন, পূর্ব আফ্রিকান দেশ মাদাগাস্কারে নতুন করে প্লেনের পাঁচটি টুকরো পাওয়া গেছে। যেখানে এর আগেও কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআরের। বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর প্লেনটি, ছবি: সংগৃহীতএর আগে সম্প্রতি সাধারণদের মধ্যে ওই ফ্লাইট নিয়ে আরও রহস্যঘেরা আরেক তথ্য দিয়েছিলেন দুই সহোদর এবং এক ব্রিটিশ ভিডিও প্রযোজক।

তখন তারা দাবি করেছিলেন, এশিয়া দেশ কম্বোডিয়ার একটি জঙ্গলে ওই প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। সেখানে সন্ত্রাসীরা এটাকে লুকিয়ে রেখেছেন।

ভিডিও প্রযোজক ইয়ান উইলসন বলেছিলেন, দেশটির ক্রোক লা ইয়াং জলপ্রপাতের কাছাকাছি গেলে একটি সাইট ঘেরাও করে রাখতে দেখা যায়। পরে গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া ছবিতে সাদা বড় একটা কিছু দৃশ্যমান হয়। সেটা খুব সম্ভবত একটি প্লেন হতে পারে। যা এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। উদ্ধার করা ধ্বংসাবেশষ, ছবি: সংগৃহীত২০১৪ সালের ৮ মার্চ দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার উদ্দেশে ১২ জন ক্রু ও ২২৭ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল মালয়েশীয় এয়ারলাইন্স পরিচালিত বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর প্লেনের এমএইচ৩৭০ ফ্লাইট। এর ঘণ্টাখানেক পরেই এটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এ পর্যন্ত অফিসিয়ালি এর কোনো খোঁজ মেলেনি বা কোথাও কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান তৎপরতা অব্যাহত ছিল।

প্লেনটিতে চীনা যাত্রী ছিলেন ১৫৩ জন এবং ৩৮ জন মালয়েশিয়ান। এছাড়াও ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইউক্রেন, রাশিয়া, তাইওয়ান এবং নেদারল্যান্ডস-এর যাত্রী ছিলেন এ ফ্লাইটে। আর ১২ জন ক্রু যারা সবাই মালয়েশিয়ারই ছিলেন।

এ বিষয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে প্লেনটি আকাশ থেকে পড়ে যায় এবং এর যাত্রীরা কেউ বেঁচে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।