২০১৫ সালে ৬৪০ কোটি রুপি জরিমানার ওই নির্দেশ নেসলে চ্যালেঞ্জ করার পর সে বছরের ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হলেও বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) তা তুলে নিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে নেসলের আইনজীবী ‘সীমিত মাত্রায় সীসা’ পাওয়া যাওয়ার স্বীকারোক্তি দেওয়ায় বিচারপতিরা মামলাটির শুনানি চলবে বলে আদেশ দেন।
বাজারের ম্যাগি নুডলসের সোডিয়ামে ক্ষতিকর মাত্রার সীসার উৎস মোনো সোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) পাওয়া যায় বলে সেসময় একটি ল্যাব টেস্টের প্রতিবেদনে জানায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এরপর অনৈতিক ব্যবসা, ভুয়া মোড়ক ব্যবহার ও ক্রেতা ঠকানোর অভিযোগ তুলে সুইস প্রতিষ্ঠানটিকে ৬৪০ কোটি রুপি জরিমানা করা হয়।
এরপর এই জরিমানার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করে এ সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ আনলেও বৃহস্পতিবারের শুনানিতে নেসলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভী স্বীকার করে নেন, ‘ম্যাগিতে সিসা ছিল, তবে তা সহনসীমার মধ্যে। ’
এরপরই মামলার শুনানির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তোলার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ভিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ম্যাগির নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শুনানি চলবে বলে আদেশ দেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এফএসএসএআই) আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১৫ সালে বিপুল পরিমাণ ম্যাগি নুডলস ধ্বংস করতে বাধ্য হয় নেসলে, যার অংক ছিল কয়েকশ’ কোটি রুপি। তবে জরিমানার নিদের্শে ওই স্থগিতাদেশের পর আবারও বাজারে ম্যাগি নুডলস সরবরাহ করতে থাকে নেসলে। কিন্তু শেষ তক আইনজীবীর ‘সহনী মাত্রা’র স্বীকারোক্তিতে ফেঁসেই যেতে হচ্ছে নেসলেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এইচএ/