জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘ কার্যালয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি খুন হওয়ার ঘটনায় ১১ সন্দেহভাজনের বিচারের একদিন পর জাতিসংঘের কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেন।
বিচারে সৌদি এক কৌঁসুলি সন্দেহভাজন ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানান। যার মাধ্যমে ২ অক্টোবর আলোচিত ওই খুনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন খাশোগি।
পরে কনস্যুলেটরের বাগানের মধ্যে খাশোগির মরদেহের একটি টুকরো পাওয়া যায় বলেও সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যম। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
জেডএস