সোমবার (৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতি দিয়ে বিদায়ের এ ঘোষণা দেন বিশ্বব্যাংক প্রধান। ৫৯ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ান এই অর্থনীতিবিদের পদত্যাগ সামনের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে নিয়োগ পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইয়ং কিম। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ভূমিকা পালন করে যাওয়ার কথা তার।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইয়ং কিম এখান থেকে বিদায় নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে জোরদার ভূমিকায় মনোযোগী হবেন। ’
ইয়ং কিম বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের জীবদ্দশায় অতি-দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করা মানুষগুলো এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। এমন প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারা বড় সম্মানের। ’
তবে কিম তার আকস্মিক পদত্যাগ ঘোষণার কোনো কারণ জানাননি। বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকেও এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বব্যাংকের হাল ধরবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ‘সংরক্ষণ নীতি’ বা ‘একলা চলো নীতি’ অনুসৃত হচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্বব্যাংকের প্রধান কোনোভাবেই ট্রাম্পের এই সংরক্ষণবাদের সঙ্গে সহমতে যেতে পারছিলেন না।
বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দায়িত্ব না নেওয়া’ এবং ‘কাউকে পরোয়া না করা’র অবস্থান ইয়ং কিমকে মর্মাহত করে। এক্ষেত্রে তিনি যে নীতি নিয়েছেন তা অনেকটা ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রই নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেজন্য হয়তো ‘কিছু করার নেই’ ধরেই শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বাহাস এড়িয়ে গেছেন কোরিয়ান এই অর্থনীতিবিদ ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএ/