গত ডিসেম্বরে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয়ের আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে এসে মে ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেন।
আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার শেষ সময়সীমা।
বিরোধী দল ছাড়াও মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতাই ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সানডে এক্সপ্রেসকে মে জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি ব্যর্থ হলে এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
মে বলেন, পার্লামেন্টের এমপিদের জন্য একটাই বার্তা, সব ধরনের রাজনৈতিক চাল ভুলে দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এখনই তার সঠিক সময়।
এদিকে এ বিষয়ে ব্রেক্সিট মন্ত্রী স্টিফেন বারক্লে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চুক্তির সমর্থনে আইন প্রণেতাদের ভোটের জন্য রাজি করানো ‘চ্যালেঞ্জিং’ হতে পারে। কিন্তু যদি ভোট পেতে ব্যর্থ হয় তবে ব্রেক্সিট চুক্তিতে থাকতে পার্লামেন্ট শেষ পর্যন্ত কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়া যুক্তরাজ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে। ব্রেক্সিট চুক্তির অনুমোদন পেতে আমার দল পূর্ণ সমর্থন দেবে।
তিনি বলেন, মে যদি মঙ্গলবারের ভোটে হেরে যান তবে তিনি গণভোটের জন্য প্রস্তাব করবেন।
এর আগে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছিলেন, মে’র চুক্তি অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলে হয়ত ব্রেক্সিটই হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
আরআর