মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-শাবাব।
কেনিয়ার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা হোটেলের লবিতে ঢোকার আগে কার পার্কিং এলাকার যানবাহনে বোমা ছুড়ে মারে। সেখানে একজন আত্মঘাতীও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে হোটেলটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হোটেলটির পাশে নদীর ধারের ফুটপাতে ৬টি মৃতদেহ এবং ৫টি মৃতদেহ হোটেলের গোপন বাগানে দেখা গেছে। আহত আরো অনেককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হামলার পরপরই সরকারি বাহিনী সেখানে অবস্থান নেয় বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশের মুখপাত্র। তিনি জানান, আমরা গোলাগুলির খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদর একাধিক দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তাদের সহায়তা করছে সিআইডি। এছাড়া সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা বিবেচনা করছি আমরা। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সশস্ত্র দল এবং অন্যান্য বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা হোটেল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। তারা প্রাণ নিয়ে ছুটতে থাকা হতভম্ব কর্মীদের ঘিরে ধরে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন এবং তা অব্যহত আছে।
নাইরোবির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ওই হোটেলের নাম দুসিত হোটেল। কেনিয়া পুলিশ জানায়, হোটেলের নিকটবর্তী সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এইচএমএস/এমকেএম