পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমেরিকানরা চুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, তাই আমরাও এই চুক্তি স্থগিত করেছি। ’ রুশ প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ বাঁধে সেটার সমাপ্তি টানতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে ঐতিহাসিক এই চুক্তি হয়েছিল।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেন, মস্কো যা করছে তা আইএনএফ চুক্তির লঙ্ঘন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে ৬ মাসের মধ্যে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসবে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর পুতিন বলেন, তারা যেহেতু চুক্তি মানছে না, আমরাও মানবো না। রাশিয়া নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করবে, যেখানে থাকবে শব্দের চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক মিসাইলও।
এছাড়া আইএনএফ চুক্তি মানা না মানা নিয়ে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সেটি প্রশমনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ সংলাপ শুরুর দরকার নেই বলেও মন্ত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।
এদিকে আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সরে যাওয়ায় শঙ্কিত ইউরোপের নেতৃত্ব। তারা মনে করছেন, এই চুক্তি না থাকলে দুই পারমাণবিক পরাশক্তির ‘রণক্ষেত্রে’ পরিণত হতে পারে ইউরোপ।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি, ইউরোপ স্নায়ুযুদ্ধের সময় দুই পরাশক্তির ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়েছিল, আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না।
চুক্তিটি রক্ষায় তিনি উভয়পক্ষকেই সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এইচএ/