এ ব্যাপারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি বলেন, হোভেইজেহ নামক এই সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম। বোনাস হিসেবে পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি ১,৩৫৯ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে জানিয়ে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা যাবে। এটি অনেক অল্প উচ্চতাতেও চলতে পারে।
হাতামির মতে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০১৫ সালে উদ্ভাবিত সোমার নামক সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্রেরই অংশ। যেটি নিক্ষেপের পর ৭শ’ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছাতে পারতো।
বিপ্লবী গার্ডস’র মহাকাশ বিভাগের প্রধান আমিরালী হাজীজাদেদ বলেন, সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য জেট ইঞ্জিন সরবরাহে প্রাথমিক যে সমস্যাগুলি ছিল, সেগুলো অতিক্রম করেছে ইরান। এখন ইরান সম্পূর্ণ পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
কোনো গোপন পারমাণবিক কর্মকাণ্ড চালাবে না বলে ২০১৫ সালে ইরান পারমাণবিক চুক্তি করে। তবে চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরেও তারা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।
সর্বশেষ জানুয়ারিতে ইরান মহাকাশে একটি উপগ্রহ চালু করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল। তাদের এই চেষ্টায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি লঙ্ঘন হয়েছে বলে দেশটিকে সতর্ক করে ওয়াশিংটন। সেই সতর্কবার্তায় ইরান কর্তৃক তিনটি পরিকল্পিত রকেট চালু করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ইরান আট বছর পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার কথা ছিল।
তবে এ ব্যাপারে ইরান সাফ জানিয়েছে, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় কোনো চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে না।
তারা বলছে, এগুলো শুধু যুদ্ধের সময় প্রতিরক্ষা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসএ/আরআর