ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

খাশোগি হত্যা তদন্তে সৌদির ‘স্বচ্ছতার’ অভাব দেখছে তুরস্ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
খাশোগি হত্যা তদন্তে সৌদির ‘স্বচ্ছতার’ অভাব দেখছে তুরস্ক সাংবাদিক জামাল খাশোগি, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি কর্মকর্তাদের তদন্তে ‘স্বচ্ছতার’ অভাব রয়েছে। যা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করবে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সহকারী।

এরদোয়ানের যোগাযোগ পরিচালক ফাহারেতিন আলতুন বলেছেন, সৌদি কর্মকর্তাদের ‘অস্বচ্ছ প্রতিবেদনের’ কারণে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে।

গত চার মাস ধরে তুর্কি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের বিতর্ক দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পন করতে সৌদিকে বলেছিল দেশটি। যাতে করে হত্যার সঠিক তথ্য বের হয়ে আসে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে আটক করা ১১ জনকে এভাবে তুরস্কে সমর্পন করতে অস্বীকার করে সৌদি।  

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে খাশোগিকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মমভাবে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া সৌদি তুরস্কের তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে বিলম্ব করছে বলে জানায় দলটি।

এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, সৌদি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এতে সৌদি প্রিন্সের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ।

ফাহারেতিন আলতুন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে তুরস্কের তদন্ত জাতিসংঘের তদন্তের সঙ্গে মিল রয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তে সহায়তা করতে তুরস্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসী দেখছে। তুর্কিসহ যেসব জাতি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা সবাই ন্যয় বিচার এবং সত্যের সন্ধান করে।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হন সৌদি সাংবাদিক খাশোগি। ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমদিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও অবশেষে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক। সবশেষ দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব দেশটির রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করেছিলেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, খাশোগির শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। টুকরো করা দেহ কনস্যুলেটের বাইরে এক এজেন্টকে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে সৌদির পাঁচ সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এসএ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।