স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতির বরাতে বিবিসি জানায়, সরকারের অচলাবস্থা এড়িয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা বিলে সই করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
এদিকে সিনিয়র ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, ট্রাম্প তার ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ ও ‘আইনের অপব্যবহার’ করছেন। কারণ প্রেসিডেন্ট কোনো বিলে সই করার আগে তা অবশ্যই কংগ্রেসে পাশ হতে হয়।
এদিকে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট আবারও মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ, সীমান্ত রক্ষা এবং আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
‘সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবিক সঙ্কট নিরসনে অন্যান্য নির্বাহী কাজ, জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন। ’
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেসের ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান নেতৃত্ব জানায়, বাজেট প্রশ্নে তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। একটানা ৩৫ দিন ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ থাকার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উভয় দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাজেট প্রশ্নে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণে কাজ করবে। সেই সময়সীমা পার হওয়ার আগেই তারা এক সমঝোতা সিদ্ধান্তে পৌঁছে।
তবে তাতে মোটেই খুশি নন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার দলের রক্ষণশীল সদস্যরা।
বাজেট সঙ্কটের কেন্দ্রে ছিল মেক্সিকোর সঙ্গে নিরাপত্তাদেয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের দাবি। প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক নেতৃত্ব সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা দেয়ালের জন্য এক পয়সাও দেবে না।
ট্রাম্পও হুমকি দিয়েছিলেন, দাবিমতো অর্থ না পেলে তিনি কোনো আইনে স্বাক্ষর করবেন না। আপাতত যে চুক্তিটি হয়েছে, তাতে ট্রাম্পের দেয়ালের জন্য ছয় বিলিয়নের বদলে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ মোট ৫৫ মাইল বেড়া নির্মাণে ব্যবহৃত হবে।
ট্রাম্প চেয়েছিলেন ২৩৪ মাইল দীর্ঘ লোহার শলাকার দেয়াল নির্মাণ করতে। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, যে সমঝোতা হয়েছে, তাতে তিনি মোটেই খুশি নন। পরে এক টুইটে তিনি বলেন, কংগ্রেস তাকে দাবিমতো অর্থ বরাদ্দ করুক বা না করুক, তিনি ঠিকই তার দেয়াল নির্মাণ করবেন।
মূলত এর একদিন পরই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএ