শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য দিয়েছে সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনাল। জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।
পাঁচ বছরে যে পাঁচ লাখ শিশু মারা গেছে, তার কারণ যুদ্ধ এবং এর পরবর্তী প্রভাব যেমন- খাদ্যাভাব, চিকিৎসার অভাব, স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব, স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব এবং ত্রাণ সামগ্রীর অভাব।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সশস্ত্র বাহিনীগুলো শিশুদের অপহরণ করে যৌন নির্যাতন এবং হত্যা ও বিকলাঙ্গ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সেভ দ্য চিল্ড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হেলে থর্নিং-স্কিমিড বলেন, বর্তমানে গড়ে প্রতি পাঁচটি শিশুর মধ্যে এক শিশু যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা কিংবা এর আশপাশে বসবাস করছে। যা গত দু’দশকের চেয়ে বেশি।
বিবৃতিটিতে তিনি বলেন, শিশুহত্যা এবং এদের বিকলাঙ্গ করে দেওয়ার পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। এ কাজে সহায়তা হিসেবে যুদ্ধের অস্ত্র ব্যবহারও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
পিস রিসার্চ ইনস্টিটউটের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা কিংবা এর আশপাশে প্রায় ৪২০ মিলিয়ন শিশু বসবাস করছে। এ হিসেবে বিশ্বের ১৮ শতাংশ শিশুই ঝুঁকিতে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, ইরাক, মালি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।
সংস্থাটি আরও বলছে, গত পাঁচ বছরে যুদ্ধে পরোক্ষভাবে মারা গেছে প্রায় আট লাখ ৭০ হাজার শিশু। যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাও ছিল।
প্রতিবেদনটিতে শিশুর সুরক্ষার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়াতে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ করার কথাও অন্তর্ভুক্ত।
শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে থর্নিং-স্কিমিড বলেন, এটা হতাশাজনক। শিশু এবং বেসামরিকদের কখনও লক্ষ্যবস্তু করা ঠিক নয়। এই সাধারণ নীতিটি ২১ শতকে এসেও মানা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসএ/টিএ