এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিড়ের মধ্যে এক চালক দ্রুতগতিতে তার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে বিক্ষোভকারীরা প্যারিসের আর্ক ডি ট্রিওমফে-তে জড়ো হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, লিওন ও বর্ডাক্স শহরে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরালে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে।
একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা অনলাইন শপ অ্যামাজনের একটি ডিপো অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং টলাউজ শহরের দক্ষিণে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করছিলেন।
তবে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বলে চলতি সপ্তাহের একটি জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগই বলছেন, তারা চেয়েছিলেন হিংসাত্মক এ আন্দোলনের সমাপ্তি হোক।
শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেছেন, দেশের সবার জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে তারা এই মানবিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। মেডেলেনি (৩৩) নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, এটি একটি মানবিক আন্দোলন। আমরা সবার জন্যই এটি করছি। তাই এখন যদি কেউ বিরক্ত হয়, তাহলে সেটি তার জন্যই খারাপ।
এরইমধ্যে আন্দোলনটির নেতাকর্মীদের মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। আর সরকারের অনুমান অনুযায়ী, আন্দোলনটিতে অংশকারীদের সংখ্যা ৩ লাখ থেকে কমে গত সপ্তাহে মাত্র ৫১ হাজারে নেমেছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে জ্বালানির কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফ্রান্সজুড়ে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে এটি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অর্থনৈতিক নীতিবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসএ/জেডএস