রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত থেকে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পিংলান এলাকায় সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গাজী নিহত হয়। পরে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, জয়শ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফ। তখন জঙ্গিরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকলে সেনাবাহিনীর ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের এক পদস্থ কর্মকর্তাসহ চার সদস্য প্রাণ হারান। মারা যান বেসামরিক এক লোকও। নিহত সেনারা হলেন- মেজর বিভূতি শঙ্কর ধৌন্দিয়াল, হাওলাদার শিও রাম, সিপাহি হরি সিং ও সিপাহী অজয় কুমার।
এরপর নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা অভিযানে গেলে দুই সন্ত্রাসী প্রাণ হারায়। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে এ দু’জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী এখনো ঘটনাস্থলে তৎপর রয়েছে।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নিহত দুই জঙ্গির মধ্যে একজন গাজী ওরফে কামরান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের উপদেষ্টা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে যে বর্বরোচিত হামলা হয়, সেখানে ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) প্রস্তুত ও সরবরাহ এবং ছক বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ড বা মূলহোতার ভূমিকা ছিল গাজীর।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুর এলাকার গোরিপুরে বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণে দেশটির বিশেষায়িত বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৪ সদস্য নিহত হন। পরে হামলা দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এই হামলায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে প্রতিবাদ জানালে ইসলামাবাদ তা প্রত্যাখ্যান করে উল্টো প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এইচএ/