গত বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যটির সর্ববৃহৎ শহর গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরের গোলাহাটে চা বাগানের শ্রমিকরা সাপ্তাহিক মজুরি পাওয়ার পর এই বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে থাকে।
এই ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আসাম সরকার। ইতোমধ্যে দু’জনকে আটকও করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শার্মা বলেন, এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে আশেপাশের জেলা এবং মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসকরা এসে কাজ করছেন। প্রতি ১০ মিনিটেই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ ধারণা করছে, ধ্রুপদী ওরান (৬৫) নামে এক নারী ও তার ছেলে সান্জু ওরান (৩০) মিলে গোলাঘাটের ‘সালমারা’ নামক চা বাগানটিতে এই বিষাক্ত মদ সরবরাহ করেছেন। তবে এটি পান করে তারা দু’জনও মারা গেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের এক বিবৃতিতে জানা যায়, বিভাগীয় কমিশনার জুলি সনোয়ালকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যই এই তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাবেন তিনি।
এই প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ভারতের উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিষাক্ত মদ পান করে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশটিতে অবৈধভাবে তৈরি দেশীয় মদ পান করে প্রায়ই মানুষ মারা যায়। ভালো মানের মদ ব্যয়বহুল হওয়ায় লোকজন দেশীয় মদ পান করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসএ/এইচএ/