ব্যাপারটি নিশ্চিত করে একাধিক সূত্র জানায়, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কিদালের উত্তর অঞ্চল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আলজেরিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত আগুইলহোক ঘাঁটিতে অস্ত্রধারীরা এ হামলা চালায়।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মালিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, আক্রমণটি করে তারা ভীরুতার প্রমাণ দিয়েছে।
উত্তর মালির একজন কূটনীতিক এএফপিকে জানায়, হামলাকারীদের কয়েকজনকেও হত্যা করা হয়েছে।
মালিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি মাহামাত সালেহ আন্নাদিফও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগুইলহোক ঘাঁটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর মাইনুজমা ফোর্সের সদস্যরাও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।
তিনি আরও বলেন, এই হামলার বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। আমরা সাহেল অঞ্চলের সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করবো।
২০১৮ সালের এপ্রিলেও একই ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় শান্তিরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছিল। আহতও হয়েছিল আরও অনেকে।
ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীরা উত্তর মালি দখল করলে তাদের প্রতিহত করতে ২০১২ সালে জাতিসংঘ প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষী নিয়োগ করে। ২০১৩ সালে ফ্রেন্স সৈন্যরাও এসে যোগ দিয়েছে।
২০১৫ সালে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মালি সরকার ও অস্ত্রধারী এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তিও সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গিরা তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই এই ধরনের সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র মালি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসএ/এএ