শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনকারীরা ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমান্তে থাকা ত্রাণ সহায়তাগুলো দেশটিতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালালে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেসময় নিহত হয়েছেন ২ জন।
দেশটিতে চলমান এই আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে ‘একনায়কতন্ত্র’ প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে উৎখাতের জন্যে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো।
কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ৬০ শতাংশই গুইদোর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। তবে তাদের বেশিরভাগই নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা। যেহেতু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই এখনও মাদুরোর পক্ষে অবস্থান করছে, তাই নিম্নপদস্থরা উচ্চপদস্থদের নির্দেশনা মানতে বাধ্য।
এদিকে আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, ত্রাণগুলো প্রবেশ করানোর চেষ্টাকালীন সময়ে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে অনেকেই আহত হয়।
গুইদোর সমর্থনে আন্দোলনকারীদের জীবনঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে নিষেধ করেছেন তিনি।
এই হামলায় কূটনীতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে হুয়ান গুইদো বলেছেন, সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভেনেজুয়েলা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন।
ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও বিরোধীদলের হুয়ান গুইদোর মধ্যে আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে ২৩ জানুয়ারি গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ প্রায় ৫০টি দেশ তাকে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া, চীনসহ কিছু দেশ এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পাশেই রয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বর্তমানে বিশাল অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে রয়েছে। এর মোকাবিলা করতে বিশ্বের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাচ্ছেন গুইদো, তবে দেশটিতে কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদুরো।
২৩ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সীমান্তে আটকে থাকা ত্রাণ সহায়তগুলো প্রবেশ করানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন গুইদো। তারই জেরে গুইদো সমর্থিত আন্দোলনকারীরা ত্রাণগুলো প্রবেশ করানোর চেষ্টা করলে তাদের উপর হামলা চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসএ/এএ