মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরের ওই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়।
বিমান বাহিনীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, এটি খুবই শক্তিশালী পদক্ষেপ এবং এর প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশস্ত্র বাহিনীকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। বর্তমানে পুরোজাতিই তাদের সমর্থন করছে।
দেশটির বিমান বাহিনী বলছে, জঙ্গিদের ডেরায় তাদের অভিযান শতভাগ সফল। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতের বিমান বাহিনী আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে।
বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, অভিযানে ১২টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিরেজ ২০০০ অংশ নেয়। এ সময় বালাকোটের জঙ্গিগোষ্ঠীর ক্যাম্পে প্রায় একহাজার কেজি বোমা নিক্ষেপ করে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এক হাজার কেজি ওজনের লেজার গাইডেড বোমাটি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এদিকে অভিযানের জন্য বিমান বাহিনীকে ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তবে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে এ ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। পরে পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলে তারা পিছু হটে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
ঘটনার পরপরই এই হামলায় দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ। যদিও দায় স্বীকারের আগে থেকেই এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে ভারত। তবে সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
আর এ পরই ‘চিরশত্রু’ দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। দিল্লি-ইসলামাবাদের উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়। পাশাপাশি এ উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করতেও আগ্রহ দেখায়।
এর মাঝেই পাকিস্তান সীমান্তে জইশ ই মুহম্মদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয়ার কথা জানালো ভারতের বিমান বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসএ/এমএ