সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যটকদের নিয়ে একজন গাইড গির্জাটিতে গেলে মাথাবিহীন ক্রুসেডার চোখে পড়ে। তখনই জানাজানি হয়, মমিটির মাথা চুরি হয়ে গেছে।
এসটি মিসান গির্জার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্রুসেডারের মাথা ভেঙে নেওয়ার সময় সমাধিটির ভেতরে থাকা আরও কয়েকটি মমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া এসব মমিকে অপবিত্র করে দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে ৪০০ বছরের পুরানো একটি মমিও আছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চোরেরা মাথা তো নিয়েছেই, ক্রুসেডারের বাকি অংশ সমাধির ভেতরে গুঁড়িয়েও দিয়েছে।
ডাবলিনের আর্চবিশপ একটি বিবৃতিতে বলেন, আমি অবাক হয়ে গেছি যে, কেউ এই প্রাচীন কবরস্থানটিকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং এর মধ্যে থাকা লোকেদের অবশিষ্টাংশকে অপবিত্র করবে।
তিনি বলেন, কেউ সমাধিটিকে শুধু অপবিত্র করেনি, এর ভেতরে থাকা মমিগুলো ধ্বংসও করে দিয়েছে। যা এসটি মিসান শত শত বছর ধরে সংরক্ষণ করে আসছিল।
আর্চবিশপ বলেন, তাদের বিবেকের পরীক্ষা করার জন্য আমি লড়বো। ক্রুসেডারের মাথা ফিরে পেতে তাদের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
সমাধি ভেঙে দেওয়ার ঘটনাটি ‘বিধ্বংসী’ এবং ‘অপবিত্রকর’ বলে বর্ণনা করেছেন ডেবিড পিয়ারপয়েন্ট নামে দেশটির সিনিয়র একজন যাজক।
তিনি বলেন, যেকারণেই এ ক্ষতি করা হোক না কেনো, এজন্য আমরা বিরক্ত। তাছাড়া ওই সমাধিটি বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে পর্যটকরা এটি দেখতে না পান। আর এমনটি হওয়া আমাদের জন্য খুব হতাশাজনক।
এদিকে, এ ঘটনায় দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
টিএ