বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এয়ারলাইন্সটির ওই সিদ্ধান্তের কারণে শত শত ইউরোপিয়ান আটকা পড়েছেন থাইল্যান্ডে। তারা বলেছেন, কবে নাগাদ ফ্লাইট চালু হবে সে বিষয়েও কিছু বলা হচ্ছে না তাদের।
থাই এয়ারওয়েজ ডেনমার্ক, নরওয়ে, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ইটালি ও অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন শহরের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
সাধারণত ১৩ ঘণ্টার এ ফ্লাইটগুলো ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশসীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে মধ্য এশিয়া হয়ে ইউরোপে যায়। কিন্তু ‘রুট এরিয়া’ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাতের কারণে ‘ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হওয়ায় থাই এয়ারওয়েজ তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এয়ারলাইন্সটির প্রেসিডেন্ট সুমেথ দামরংচৈতম জানিয়েছেন, ইউরোপ রুটের ফ্লাইটগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি থাই এয়ারওয়েজকে ভোগাচ্ছে। লন্ডন ও ফ্রাংকফুর্টসহ কয়েকটি শহরের ফ্লাইট ব্যাংককে ফেরতও আনা হয়েছে।
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুরে লেহ, জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, ধর্মশালা, চণ্ডিগড়, দেরাদুনসহ সীমান্তবর্তী ১০ বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে সে সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এইচএ/