পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দু’দিনব্যাপী (২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি) এ বৈঠকে দুই নেতার পক্ষ থেকে ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের’ ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় ঐতিহাসিক এ বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউস হতাশার কথাই জানালো।
বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, এবারের বৈঠকে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি। তবে ভবিষ্যতে পুনরায় বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্যান্ডার্সের বিবৃতির আগে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সবকিছু নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে আটকে গেছে। তারা নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার আবদার করেছে, যা আমরা পারিনি। আসলে কিছু সময় আসে যখন আপনাকে ফিরে আসতে হবে, এটা তেমনই এক সময়।
ট্রাম্প-কিমের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের কর্মসূচি অনুযায়ী একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে যায়। পরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আপাতত তৃতীয় বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এর আগে বুধবার প্রথম দিনের বৈঠক শেষে একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন ট্রাম্প ও কিম। সেই অনুষ্ঠানে তারা আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তখন দু’জনকেই উৎফুল্ল দেখা যায়।
ট্রাম্প ওই অনুষ্ঠানে বলেন, যদিও সমালোচকরা বলছেন আমাদের আলোচনা ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই গতিতে আমি খুব সন্তষ্ট।
বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, আলোচনার গতিশীলতা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় যে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের পারমাণবিক রকেট, মিসাইল কিংবা এই জাতীয় কিছুর পরীক্ষা চালায়নি। আমরা চাই একটি সঠিক চুক্তি হোক।
২০১৭ সালে থেকে কোনো ধরনের পারমাণবিক কিংবা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি উত্তর কোরিয়া।
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথমবার বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প এবং কিম। সে বৈঠকের পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে উন্নতি দেখা যায়। এই দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হলে পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশই সুফল ভোগ করবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএ/এইচএ/