শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে উত্তর চীনের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
তারা বলছে, পাকিস্তান অভিমুখী এবং দেশটি থেকে আসা সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপমুখী সংযোগ ফ্লাইটগুলোরও রুট বদল করছে চীন।
ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীনসহ পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার ফ্লাইটগুলো সাধারণত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ওপর দিয়ে যায়। কিন্তু গত ক’দিন ধরে ওই সীমান্তে উত্তেজনায় থাই এয়ারওয়েজসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত করে দেয়। এরপরই চীনের ঘোষণাটি এলো।
উত্তর চীনের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যুরো তাদের বিবৃতি জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান রুটের সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। শুক্রবারের নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২২টি ফ্লাইট চীন থেকে পাকিস্তানে চলাচল করে। এগুলোর মধ্যে দু’টি ফ্লাইট চায়না এয়ারের এবং বাকিগুলো পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যেসব ফ্লাইটগুলো পাকিস্তান হয়ে চীনে পৌঁছাতো, সেগুলোর রুট পরিবর্তন করে এখন ভারত, মিয়ানমার কিংবা মধ্যএশিয়া হয়ে যেতে হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। হামলায় প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে ভারত। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান।
বিশেষ করে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দু’দেশের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে পাকিস্তানই তাদের ভারত সীমান্তবর্তী আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসএ/এইচএ/