বেসরকারি সংস্থা গ্রিনপিস এবং এয়ারভিজুয়ালের নির্ভরযোগ্য জরিপ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত এলাকা ভারতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির উপকূলীয় শহরটি। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ভারতেরই সাতটি।
এদিকে, জরিপ অনুয়ায়ী বায়ু দূষণ সমস্যার কথা আসলেই দক্ষিণ এশিয়ার নাম চলে আসে। কেননা, বায়ু দূষণে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর সবই এ অঞ্চলের। সূচকে শীর্ষ ৩০টি শহরের মধ্যে ২২টিই ভারতের। চীনের পাঁচটি, পাকিস্তানের দু’টি এবং বাংলাদেশের একটি, ঢাকা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৮ সালে গুরুগ্রামের গড় ইপিএ (মার্কিন পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার গ্রেড) ছিল ১৩৫.৮। যা মার্কিন পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। তবে শহরটির বায়ু এক বছরে তিনবার ইপিএ গ্রেড অতিক্রিম করেছে দূষণে। গত বছরের দুইমাস গুরুগ্রামের ইপিএ ছিল ২০০। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া তখন সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, গুরুগ্রামে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যেই গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।
জরিপটি বলছে, চলতি বছরে বায়ু দূষণের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। সেইসঙ্গে বায়ু দূষণ বিশ্বে বড় ধরনের একটি অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে।
গ্রিনপিসের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক ইয়েব সানো জানিয়েছেন, বায়ু দূষণ আমাদের জীবিকা এবং ভবিষৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানুষের জীবন হারানো ছাড়াও বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা খরচ পড়ছে প্রায় ২২৫ বিলিয়ন ডলার। বহু ট্রিলিয়ন ডলার এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য খরচ হয়েও গেছে এ কারণে।
তিনি বলছেন, বায়ু দূষণের মারাত্মক প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্য এবং মানিব্যাগে।
জরিপটি এও জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে এবং এর পরিবর্তনের কারণে বায়ু দূষণের প্রভাব আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কলকারখানাসহ বিভিন্ন জায়গার জ্বালানি থেকে বায়ু দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে।
মারাত্মক বায়ু দূষণে উদ্বিগ্ন ভারত। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এর প্রভাব পড়ছে ব্যাপকভাবে। এছাড়া বায়ু দূষণে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা ভারতকে নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও। এ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক বলছে, বায়ু দূষণের কারণে ভারতের উত্পাদন ক্ষমতা কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বেড়েছে অসুস্থতা, চিকিৎসা খরচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮৯
টিএ