স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না হওয়া লন্ডনের ওই রোগীকে অবশ্য এখনই ‘পুরোপুরি এইচআইভি মুক্ত’ বলতে নারাজ তার চিকিৎসকরা।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘লন্ডন রোগী’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই ব্যক্তির এইচআইভি শনাক্ত হয় ২০০৩ সালে। এরপর ২০১২ সালে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার পাশাপাশি এক সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অস্তিমজ্জা পেয়ে প্রতিস্থাপন করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত ১৮ মাস ধরে ওই ব্যক্তি এইচআইভিমুক্ত জীবন যাপন করছেন এবং তার এই রোগের ওষুধ নিতে হচ্ছে না। ক্যান্সার থেকেও তিনি সেরে উঠবেন বলে আশাবাদী।
তার দু’টি চিকিৎসায়ই ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্পৃক্ত ছিলেন।
তারা বলছেন, এটা বিপুলসংখ্যক এইচআইভি রোগীর চিকিৎসার বাস্তব পদ্ধতি না হয়ে উঠলেও একদিন নিশ্চয় এই ব্যাপারটিই আরোগ্যলাভের উপায় বের করতে সাহায্য করবে।
১০ বছর আগে জার্মানির বার্লিনে টিমোথি ব্রাউন নামে এক রোগীর শরীরে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাকে এইচআইভি-মুক্ত করা সম্ভব হয়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ও এই চিকিৎসায় গবেষণার প্রধান রবীন্দ্র গুপ্ত বলেন, একই উপায়ে দ্বিতীয় কোনো রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি দূর করে আমরা দেখিয়েছি যে বার্লিনের ঘটনাটি ব্যতিক্রম ছিল না। এটাই আসলে শরীর থেকে এইচআইভি দূর করার চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এইচএ/