যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় কমান্ডের প্রধান ক্যাপিটল হিলে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেছিলেন, এ বছর রাশিয়ার কাছ থেকে ‘এস-৪০০’ কেনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক, সেটি তাদের পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এমন মন্তব্যের পরই তুরস্কের প্রতি সতর্কতা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫’ এর হুমকি হিসেবে দাঁড়াতে পারে রাশিয়ার এই ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর কারণেই তুর্কির ওপর সতর্কতা জারি করেছে প্রধান পরাশক্তির দেশটি।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) স্টেট মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাদিনো বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছি, তারা যদি রাশিয়া থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি কিনে, তাহলে আমাদের সঙ্গে তাদের যে ‘এফ-৩৫’ চুক্তি হয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে দেশটিতে কোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে কি-না তাও অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের ‘এফ-৩৫’ চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০টি ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান কেনার কথা ছিল তুরস্কের। চুক্তির পর ইতোমধ্যে দু’টো যুদ্ধবিমান পাঠিয়েও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাকিগুলো পাঠাতে কিছু সময় চেয়েছিল দেশটি।
তুর্কির এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোটভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো সন্দেহের চোখে দেখছে। তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে সেসব দেশের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক জটিলতা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে আঞ্চলিক হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের বিকল্প ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তুর্কি।
রাশিয়ার ‘এস-৩০০’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আপগ্রেড ভার্সনই হলো এই ‘এস-৪০০’। এর কার্যক্ষমতার কারণে চীন, সৌদি আরব, তুর্কি, ভারত এবং কাতারসহ আরও কিছু দেশ এটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে রাশিয়ার নতুন এই ‘এস-৪০০’ ব্যাপক শক্তিশালী। এটি একইসঙ্গে অনেক লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি দ্রুতগতি সম্পন্ন একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসএ/টিএ