রোববার (১০ মার্চ) সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড়াল দেওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অবতরণের সম্ভাব্য সময় ছিলো।
দুর্ঘটনার পর এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের সিইও তৌলদে গ্যাব্রিমারিয়াম। তিনি জানান, প্লেনটিতে ৩০টির বেশি দেশের নাগরিক ছিলেন।
প্রাথমিক পাওয়া তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আরোহীদের মধ্যে সর্বাধিক ৩২ জন কেনিয়ান, ১৮ জন কানাডিয়ান, ৯ জন ইথিওপিয়ান, ৮ জন ইটালিয়ান, ৮ জন চীনা, ৮ জন আমেরিকান, ৭ জন ব্রিটিশ, ৭ জন ফরাসি, ৬ জন মিশরীয়, ৫ জন ডাচ, ৪ জন ভারতীয়, ৪ জন স্লোভাকিয়ার নাগরিক ছিলেন।
এছাড়া ৩ জন অস্ট্রেলিয়ান, ৩ জন সুইডিশ, ৩ জন রাশিয়ান, ২ জন মরোক্কান, ২ জন স্প্যানিশ, ২ জন পোলিশ এবং ২ জন ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন।
আর একজন করে ছিলেন বেলজিয়াম, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, নরওয়ে, সার্বিয়া, টোগো, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সুদান, উগান্ডা ও ইয়েমেনের নাগরিক। বাকি আরোহীদের জাতীয়তা জানার চেষ্টা চলছে।
পাইলটের কথোপকথনের বরাতে তিনি আরো বলেন, ‘জটিলতা’ অনুভব করায় এর পাইলট ফেরত আসার কথা বলেন। তাকে ফেরত আসার অনুমতিও দেওয়া হয়।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর টুইটারে দেওয়া চিত্রে উপরের দিকে উঠতে প্লেনটির গতিতে কিছু ‘অসঙ্গতি’ পাওয়া গেছে।
এদিকে বিধ্বস্ত প্লেনটির কিছু ছবি প্রকাশ করেছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। তাতে প্লেনটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এক ধ্বংসাবশেষ।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্লেনটি যখন মাটিকে স্পর্শ করে তখন এতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন এতো তীব্র ছিল যে আমরা এর কাছে যেতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
জেডএস