চলমান এ দুর্যোগের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার ৮ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।
প্রবল বর্ষণ আর বন্যায় মোজাম্বিকে ৬৬ জন, মালাওয়িতে ৪৫ জন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
মোজাম্বিক মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এনা কোমোয়ানা জানান, টানা এ বৃষ্টিপাতে অঞ্চলগুলোতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে শুক্রবারের (১৫ মার্চ) মধ্যে ‘ইদাই’ নামক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। তাই সেখানে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) চলমান এ সংকট মোকাবিলায় মাপুতোতে আয়োজিত মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মোজাম্বিকে এ দুর্যোগে ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৭৫৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যার ফলে দুর্ভোগে রয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৭টি পরিবারের ১ লাখ ৪১ হাজার ৩২৫ সদস্য।
পার্শ্ববর্তী দেশ মালাওয়িতে বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় ৭ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজারই হারিয়েছে নিজেদের আশ্রয়স্থল।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের (১৬ মার্চ) মধ্যে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে মালাওয়ি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে চলমান এ দুর্যোগে মোজাম্বিকে আহত হয়েছেন ১১১ জন, ধ্বংস হয়ে গেছে ১৮ টি হাসপাতাল ও ৯৩৮টি শ্রেণিকক্ষ। যার ফলে দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সরকারের এক মুখপাত্র জানায়, এ দুর্যোগে প্রায় ৪ লাখ ১৫ হাজার একর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে।
বন্যার্ত এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এনা কোমোয়ানা বলেছেন, লোকজনকে আশ্রয় দিতে জাম্বেজিয়া প্রদেশে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগের ফলে দুর্ভোগে পড়া ৮০ হাজার পরিবারের জন্য সরকারের প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রয়োজন।
আফ্রিকার অন্যতম দুর্যোগ আক্রান্ত দেশ মোজাম্বিকে ২০০০ সালে বন্যায় প্রায় ৮শ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৫ সালেও প্রাণহানি হয়েছিল প্রায় ১০০ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এসএ/এএ