শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত আল নুর মসজিদ ও লিনউড অ্যাভিনিউ মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে এ হামলা হয়। পরে নিউজিল্যান্ডের পাশের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সুফিউর রহমান দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর দেন সংবাদমাধ্যমকে।
হামলার সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা মসজিদ আল নুরের খুব কাছের এক মাঠেই অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা মসজিদটিতে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। খেলোয়াড়রা সেখানে গিয়ে শুনতে পান মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এরপর তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মাঠের দিকে চলে যান।
নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সেজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডট কো জানিয়েছে। এরপর জানালার কাচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। এ হামলায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল নুর মসজিদে হামলাকারী সামরিক পোশাক পরে প্রবেশ করে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এরপর পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তিনি অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত।
হামলার ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এই হামলাকে ‘নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলির একটি’ বলে অভিহিত করেছেন।
হামলার পর টুইটার বার্তায় নিজেদের নিরাপদ থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। তবে হামলার কারণে সে ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে হামলার পর ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
টিআর/এসএ/এইচএ/