এ নিয়ে টুইটারে একটি বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের পর ঘটনাটি ঘটলেও প্রায় ১১ ঘণ্টা পর টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ অনেক বিশ্বনেতার টুইটে ‘উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের’ কথা বলা হলেও ট্রাম্পের টুইটে এ ধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘মসজিদে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পর নিউজিল্যান্ডের জনগণের প্রতি আমার উষ্ণ সমবেদনা এবং শুভকামনা। ৪৯ জন নিরীহ মানুষ এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন (ঘটনায়) মারা গেলেন, আরও অনেকে গুরুতর আহত হলেন। নিউজিল্যান্ডের পাশে থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার সাধ্যের মধ্যে সম্ভব করবে। স্রষ্টা সবার সহায় হোন। ’
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সব ধরনের চরমপন্থা ও এ জাতীয় কর্মকাণ্ডসহ বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের দৃঢ়াবস্থানে। মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে এসব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই কাজ করে থাকে ফ্রান্স। ’
তারও আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেন, ভয়ঙ্কর এ হামলার ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের জনগণের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
হামলাটিকে ‘বর্ণবাদী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, `দেশের পক্ষে আমি ইসলামী বিশ্ব ও নিউজিল্যান্ডের জনগণের প্রতি শোক জানাই, যারা কিনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এ কাণ্ডের শিকার হয়েছেন। (এটি) মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বর্ণবাদ ও ইসলাম-বিদ্বেষেরই সর্বশেষ নজির। ’
জুমার নামাজের পর মসজিদ দু’টিতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে চালানো ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। গণহত্যা চালানোর আগে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী অনলাইনে একটি পোস্ট করে জানায়, সে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। দখলদারদের (অভিবাসী) ওপর প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা করেছে। অবশ্য তাকে আটক করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এইচএ/