তিনি হামলাটিকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেছেন, মুসলিম অভিবাসীরা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডবাসীর মধ্যে এক ধরনের ‘ভয়’ সৃষ্টি করছে। যে কারণেই আজকের এ হামলা।
তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলায় দেশের জাতীয়তাবাদকে দায়ী করা যাবে না। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের অভিবাসী পদ্ধতি এ হামলার দায় এড়াতে পারবে না।
ফ্রেসার অ্যানিং এও বলেন, আমি আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যেকোনো ধরনের সহিংসতার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছি। ওই বন্দুকধারীর এ কর্মকাণ্ডকে পুরোপুরি নিন্দা জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হোক।
এ ধরনের সহিংসতা কখনই ন্যায্যতা অর্জন করতে পারে না উল্লেক করে সিনেটর বলেন, এমন সহিংসতা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উভয় দেশেই মুসলিম অভিবাসী দিনদিন বাড়ছে, যা আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের ‘ভীতির’ সৃষ্টি করছে। যা থেকে এ হামলার বহিঃপ্রকাশ।
পরে সিনেটর বিশ্বে বিগত হামলার কথা উল্লেখ করে স্পষ্ট বলেন, এখন মুসলিমদের ওপর হামলা হয়েছে। এছাড়া মুসলমানরাইতো সব সময় হামলা করে।
ফ্রেসার অ্যানিং বর্বরোচিত এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পুরো বক্তব্যতেই তিনি পাল্টা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দোষারোপ করেছেন। আর বিতর্কিত এ বক্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সিনেটর।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে এ হামলা হয়। এতে অন্তত ৪৯ জন নিহত হন। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন আরও ৪৯ জন। এদের মধ্যেও একাধিক বাংলাদেশি। তবে বর্বরোচিত হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
টিএ