মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মালি সরকারের মুখপাত্র আমাদোও কোতিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলার ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে নৃশংস হামলা হিসেবে উল্লেখ করে আমাদোও কোতিয়া বলেন, হামলার এ ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
হামলার পর নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩৪ জন। তবে সেসময় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় দেশটির ওগোসাগোও ও ওয়েলিনগারা গ্রামে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারীদের পোশাক পরে বন্দুকধারীরা গ্রাম দু’টিতে হামলা চালায়। মূলত সেখানকার ফুলানি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মের অনুসারী অধিবাসীদের বিদ্রোহী সন্দেহে প্রতিপক্ষ ভেবে এ হামলা চালিয়েছে তারা।
নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী ছাড়াও শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছেন।
সম্প্রতি দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতা বেড়ে গেছে। জাতিগত এ দ্বন্দ্বের জেরেই আল-কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী এবং ইসলামী স্টেট (আইএস) মালি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বুর্কিনা ফাসো ও নাইজারে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছে।
২০১৩ সাল থেকে দেশটিকে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সহায়তা করছে ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন সৈন্যও।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএ/এমএ