তেমন কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিরোধী প্রার্থী উচ্চপদস্থ কূটনীতিবিদ মারোস সেফকোভিককে হারিয়ে তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসলেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) দ্বিতীয় দফা ভোট পর্বে দেশটির সরকার মনোনিত প্রার্থী সেফকোভিকের বিরুদ্ধে জয় লাভ করেছেন তিনি।
নির্বাচনে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন কাপুতোভা। অন্যদিকে তার বিরোধী প্রার্থী ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেফকোভিক পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক জ্যান কুকিয়াক ও তার বাগদত্তাকে হত্যার পর এটিই দেশটিতে প্রথম কোনো নির্বাচন।
দেশটিতে সংগঠিত অপরাধ এবং এর সঙ্গে রাজনীতিকদের মধ্যকার সম্পর্ক অনুসন্ধান করছিলেন কুকিয়াক। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর দেশটিতে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
কাপুতোভার এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণগুলোর মধ্যে কুকিয়াকের মৃত্যু অন্যতম বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে রাজনীতি নয়, অবৈধভাবে জমি ভরাটের বিরুদ্ধে ১৪ বছর যাবৎ আদালতে একটি মামলা লড়ে আইনজীবী হিসেবে সবার নজরে আসেন জুজানা কাপুতোভা।
৪৫ বছর বয়সী কাপুতোভা ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জননী। তিনি দেশটির লিবারাল প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া পার্টির সদস্য।
যদিও তিনি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তবে দেশটির সংসদে তার রাজনৈতিক দলের কোনো আসন নেই।
এর আগে ১৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট পর্বে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন কাপুতোভা। সেসময় সেফকোভিক ১৯ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিলেন। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী সেসময় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফার এ ভোট গ্রহণটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এসএ/