বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারাও এ আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে উপাসনা করার স্থানগুলো এড়াতে হবে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটির ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে অনুসন্ধান এবং নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রতিবাদমূলক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা করছে শ্রীলঙ্কা। এ ভয়ে ইতোমধ্যেই দেশটির মুসলমান সম্প্রদায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রধান ইসলাম ধর্মীয় সংস্থা অল সিলন জামিয়াতুল উলমা দেশটির মুসলমানদের শুক্রবার বাড়িতে নামাজ আদায় করার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, নিজের পরিবার এবং সম্পত্তি রক্ষা করার প্রয়োজন আছে।
দেশটির কার্ডিনাল মালকলম রঞ্জিতও আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত দেশের গির্জাগুলোতে প্রার্থনায় না যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রোববার (২১ এপ্রিল) খিস্টানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয়। এরপরই বাড়তে থাকে নিহত সংখ্যা। শেষপর্যন্ত ৩৫৯ এ গিয়ে ঠেকে। যা থেকে পরে গণনায় ভুল হয় বলে ১০৬ জন কমে ২৫৩ তে এসে দাঁড়ায়।
এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের তদন্তে সিরিয়া ও মিশরের বিদেশিসহ অন্তত ৭৬ জনকে আটক করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হামলাটির দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রমাণ হিসেবে হামলাকারীদের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
টিএ