এ বিষয়ে দেশটির পুলিশের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ‘আস্তানায়’ অভিযানে গেলে দুর্বৃত্তরা ‘আত্মঘাতী’ বোমা হামলা চালায়। এতে ছয় শিশু, তিন নারীসহ ১৫ জন নিহত হন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় কালমুনাইয়ে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় বোমা হামলার ঘটনায় ওই বাসার বাইরে তিন পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে তারাও আত্মঘাতী হয়েছেন।
এর আগে যৌথ বাহিনী অভিযানে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও গুলি ছোড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশের ধারণা, নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ‘জঙ্গি’রা এখানে লুকিয়ে ছিলো।
রোববার (২১ এপ্রিল) খিস্টানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয়। এরপরই বাড়তে থাকে নিহত সংখ্যা। শেষপর্যন্ত ৩৫৯ এ গিয়ে ঠেকে। যা থেকে পরে গণনায় ভুল হয় বলে ১০৬ জন কমে ২৫৩ তে এসে দাঁড়ায়।
ওই ঘটনার পর দেশব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে তাদের সঙ্গে রয়েছে সেনাবাহিনী। আর গত ২১ এপ্রিলের হামলার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তদন্তের স্বার্থে সিরিয়া ও মিশরের বিদেশিসহ অন্তত ৭৬ জনকে আটক করেছে।
এ হামলার পেছনে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত রয়েছে বলে জানিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হামলাটির দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রমাণ হিসেবে হামলাকারীদের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
জেডএস