ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে আইএসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়। ওই পোস্টারে বাংলায় লেখা ছিলো ‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ’।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের (এনটিজে) মাধ্যমে আইএসের ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এরইমধ্যে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) মাধ্যমে অস্তিত্ব জানান দিয়েছে আইএস।
কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকা ও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে জেএমবি সদস্যদের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। সেখানে তারা নতুন সদস্য সংগ্রহ ও গোপন আস্তানা গড়ার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে হামলাকারীদের অন্যতম সহযোগী ছিলো সে।
এর আগে, গ্রেফতার হওয়া জেএমবি সদস্যরা আসামের চিরাঙ এলাকার একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
এছাড়াও ভারতের আরও কিছু এলাকায় জেএমবি তৎপরতা ও তাদের সদস্যদের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
২০১৬ সালে আইএস ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বর্বরোচিত হামলা চালালেও এরপর জঙ্গিবাদকে কঠোর হাতে দমন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনার পর জঙ্গিবাদ সারাবিশ্বের উদ্বেগের কারণ হলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর, জনগণও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন হয়েছে। জঙ্গিবাদের স্থান এ দেশের মাটিতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
একে/এইচএ/