বুধবার (১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জানা যায়, আদালতের দেয়া জামিন শর্ত ভঙ্গ এবং প্রায় সাত বছর ধরে পালিয়ে থাকার কারণে তাকে এ কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট।
তার রায় ঘোষণা করেন বিচারক ডেবোরাহ টেইলর।
এদিকে আদালতের এ রায় ঘোষণার পর, বাইরে অবস্থান নেয়া অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা এর প্রতিবাদে আদালতের উদ্দেশে ‘লজ্জা হওয়া উচিৎ’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
যৌন নিপীড়নসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে ২০১২ সাল থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। প্রায় সাত বছর সেখানে থাকার পর ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হয়ে গেলে গত ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দূতাবাসের ভেতর থেকেই গ্রেফতার হন তিনি।
গ্রেফতারের পর ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো বলেন, আমাদের দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্য কোনো জাতির কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে করা হয়নি। আন্তর্জাতিক এবং দৈনন্দিন রীতিনীতি বারবার লঙ্ঘন করেছেন অ্যাসাঞ্জ। যে কারণে তার আশ্রয় স্থগিত করার মতো ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অ্যাসাঞ্জের শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না এখানে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন দূতাবাসগুলোর গোপন তারবার্তা উইকিলিকসে প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে দেন অস্ট্রেলিয়ান এই নাগরিক। সেই বার্তায় মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তথ্যও ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার চেয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১২ সালে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। পরে সেখানে দূতাবাসের ভেতরেই থাকে কাটাতে হয় সাতটি বছর; বের হওয়ার কোনো উপায় ছিল না; গ্রেফতার হবেন বলে।
অপরদিকে, একইসময় সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপন করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল সেসময় থেকেই। এ নিয়ে কয়েক দেশের মধ্যে তুমুল বিতর্ক ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার, যিনি আলোচিত প্রচার সংস্থা উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘গোপন নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসএ/