বৃহস্পতিবার (২ মে) সমর্থনকারীদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান হুয়ান গুইদো।
গুইদো বলেন, যদি আন্দোলন পুরোদমে না চলে, তবে এটি সাধারণ বিক্ষোভে পরিণত হবে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাদুরোকে উৎখাতে ফের আন্দোলনের ডাক দেন বিরোধী এ নেতা।
গুইদোর ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার (১ মে) আন্দোলনে নামে তার সমর্থকরা। এদিন কারাকাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার চলমান এ পরিস্থিতিতে উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যেও।
ভেনেজুয়েলার চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাইক পম্পেও। সেসঙ্গে দেশটির এ সংকটময় পরিস্থিতির পেছনে রাশিয়া এবং কিউবাকে দোষারোপ করেছেন তিনি। কারণ দেশ দু’টি ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন করছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরোভ পম্পেওকে বলেন, ভেনেজুলেয়ালা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও বিরোধী দলের হুয়ান গুইদোর মধ্যে আন্দোলন চলছে। গত ২৩ জানুয়ারি গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ প্রায় ৫০টি দেশ তাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে রাশিয়া, কিউবা ও চীনসহ বেশ কিছু দেশ এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পাশেই রয়েছে।
দেশটির দু্ই নেতার মধ্যকার এমন বিদ্বেষী পদক্ষেপে বিপাকে রয়েছে দেশটির জনগণ। ইতোমধ্যেই নিজ দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেনেজুয়েলার বহু মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এসএ/