ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দ্বীপের সৈকতে ১০ লাখ জুতো, ৩ লাখ ৭০ হাজার টুথব্রাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
দ্বীপের সৈকতে ১০ লাখ জুতো, ৩ লাখ ৭০ হাজার টুথব্রাশ অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপে জমা হওয়া বর্জ্য। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম কোকোস (কেইলিং) দ্বীপপুঞ্জ। প্রায় সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে। প্রকৃতিতে মানুষের অবাধ যাতায়াত কী ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তার নজির দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এ অঞ্চলে। 

সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোকোস (কেইলিং) দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্র সৈকতগুলোতে প্রায় ৪১৪ মিলিয়ন প্লাস্টিক টুকরো ভেসে এসেছে। এরমধ্যে প্রায় ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) জুতো ও ৩ লাখ ৭০ হাজার পিস টুথব্রাশ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ান অঞ্চলটিতে মাত্র ৫শ’র মতো মানুষের বসতি থাকলেও সেখানে ২৩৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। অথচ, এ অঞ্চলের ২৭টি দ্বীপকে পর্যটকদের কাছে ‘অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ অদূষিত স্বর্গ’ বলে প্রচার করা হয়।  

ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া মেরিনের ইকো-টক্সিকোলজিস্ট জেনিফার লেভারস। তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জমা হওয়া বর্জ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই একবার ব্যবহৃত নিত্যপণ্য। যেমন- বোতলের ক্যাপ, স্ট্র, জুতো-স্যান্ডেল প্রভৃতি।  

তিনি বলেন, এসব দ্বীপের অবস্থা অনেকটা কয়লা খনির পাশে নর্দমার মতো হয়ে গেছে। পরিবেশগত এ হুমকি মোকাবেলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

লেভারস জানান, তারা ৪১৪ মিলিয়ন প্লাস্টিক বর্জ্য খুঁজে পেয়েছেন সৈকতের মাত্র ১০ সেন্টিমিটার গভীরতার মধ্যে। এছাড়া, ময়লার ভাগাড় বলে পরিচিত বেশ কয়েকটি সৈকতে তাদের যাওয়াই হয়নি।

এর আগে, ২০১৭ সালের এক গবেষণায় তিনি জানান, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ হেন্ডারসনে বিশ্বের যেকোনো জায়গার চেয়ে বর্জ্যের ঘনত্ব বেশি।

কোকোস (কেইলিং) দ্বীপপুঞ্জে বর্জ্যের ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম হলেও তা মোট পরিমাণের দিক থেকে হেন্ডারসনকে ছাড়িয়ে গেছে। দ্বীপটিতে ৩৮ মিলিয়ন প্লাস্টিক টুকরো রয়েছে, যার মোট ওজন ১৭ টন।

লেভারের সহকর্মী ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির অ্যানেট ফিঙ্গার জানান, শুধু ২০১০ সালেই বিশ্বব্যাপী সাগরে ১২.৭ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আনুমানিক ৫.২৫ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক বর্জ্য রয়েছে সাগরে।   

তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রাণিজগতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোসহ সাগরে প্রবেশ বন্ধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটানোই এর একমাত্র সমাধান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।