ঢাকা, শনিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

বেকারত্ব কমাতে মোদীর নতুন কমিটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০০, জুন ৬, ২০১৯
বেকারত্ব কমাতে মোদীর নতুন কমিটি

ঢাকা: ভারতের অর্থনীতির গতি বাড়াতে এবং দেশটির বেকারত্ব কমাতে দু’টি মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গঠন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বুধবার (৫ জুন) এ কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক আসন পেয়ে জয় লাভের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দেশের অর্থনীতি ও বেকারত্বের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন তিনি।  এটি দু’টি ইস্যু নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে এবারই প্রথমবারের মতো আলাদা কোনো কমিটি গঠন করা হলো।

বৃহস্পতিবারের (৬ জুন) মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হবে।

সরকারি সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, কমিটি দু’টির মধ্যে একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটির অর্থনীতির ধীর গতি বাড়াতে আর অন্যটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমাতে কাজ করবে।  কমিটি দু’টিরই প্রধান হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিনিয়োগ ও অর্থনীতির ধীর গতি বাড়াতে কাজ করা কমিটিতে রয়েছেন- দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল।  

অন্যদিকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমাতে করা কমিটিতে শাহ, সীতারামান ও গোয়েলের পাশাপাশি রয়েছেন- কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তমার, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্কিল ডেভলপমেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়ার এবং গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হারদিপ পুরি।  

গত নির্বাচনের আগে মোদী সরকার দেশটির বেকারত্ব কমাতে ও অর্থনীতির গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই প্রচারণা চালিয়েছিল বিরোধী দলগুলো। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই এ দু’টি ইস্যু নিয়ে তৎপরভাবে কাজ শুরু করেছে মোদী সরকার।  

দেশটির কেন্ত্রীয় শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের মে’তে দেশটির বিভিন্ন শহরের কর্ম-উপযোগী তরুণদের মধ্যে ৭ দশমিক ৮ শতাংশই বেকারত্বের মুখে রয়েছেন। আর গ্রাম্য অঞ্চলগুলোতে এর সংখ্যা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।  

নির্বাচনের আগে পাওয়া একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল, বিগত ৪৫ বছরে বেকারত্বের সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি এ বছরই। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ সালে এ সংখ্যা ছিলো ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।