বুধবার (৩ জুলাই) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সেগুলো খুব সুন্দর ও উজ্জ্বল রাশিয়ান প্লেন। আমিই প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট, যার আমলে ওয়াশিংটনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমান উড়বে।
তিনি জানান, গত সপ্তাহে জাপানে জি২০ সম্মেলন চলাকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৪ জুলাই আমেরিকার আকাশে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ওড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
ট্রাম্প জানান, পুতিন বলেছেন, আপনি (ট্রাম্প) আমাদের জন্য যা করেছেন, তার বিনিময়ে এতটুকু তো করতেই পারি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তার বিশ্বাস, আমেরিকার রাজধানীর ওপর দিয়ে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর জন্য রুশ পাইলটরা অবশ্যই খুব রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, তারা (পাইলট) অনেক অনেক ছবি তুলবে।
আগামী ৪ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসির ল্যান্ডস্ক্যাপড পার্ক ন্যাশনাল মলে হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের এ কুচকাওয়াজ। রেওয়াজ ভেঙে দেশটির ইতিহাসে এবারই প্রথম এ আয়োজনে কোনো প্রেসিডেন্ট অংশ নিচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ফ্রান্সে বাস্তিল দিবস উদযাপনের সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ফরাসি সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক কুচকাওয়াজ দেখে ওয়াশিংটনেও স্বাধীনতা দিবসে এমন আয়োজন করার শখ জাগে তার। বিভিন্ন কারণে গত দুই বছর এমন আয়োজন করতে না পারলেও, এ বছর সে ইচ্ছে পূরণ করতে চলেছেন ট্রাম্প। তিনি বহুল আকাঙ্ক্ষিত এ আয়োজনের নাম দিয়েছেন ‘স্যালুট টু অ্যামেরিকা’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের দু’জন কর্মকর্তা বলেছেন, বিশেষ এ প্রদর্শনীতে থাকছে- আব্রাম ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও এয়ার ফোর্স ওয়ানসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমানের মহড়া।
ওইদিন ন্যাশনাল মলের লিংকন মেমোরিয়াল হলে বক্তৃতাও দেবেন ট্রাম্প।
২০২০ সালের নির্বাচন সামনে রেখে ব্যক্তিগত প্রচারণার জন্যই তিনি এ আয়োজন করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
একে