ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে বাঁধ ভাঙায় কাঁকড়াকে দায়ী করলেন মন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৯
ভারতে বাঁধ ভাঙায় কাঁকড়াকে দায়ী করলেন মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের তিওয়ারি বাঁধে ভাঙন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের মহারাষ্ট্রে বাঁধ ভেঙে হতাহতের ঘটনায় কাঁকড়ার ঘাড়ে দোষ চাপালেন পানি সংরক্ষণ মন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত।

গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজ্যের রত্নগিরি শহরের তিওয়ারি বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও সংরক্ষণে অদক্ষতার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা।

তবে, এসব অভিযোগ উড়িয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পানি সংরক্ষণ মন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে সফলভাবে পানি আটকে রাখা বাঁধটিতে কোনো ফাটল ছিল না। তবে, সেখানে কাঁকড়ার খুব উৎপাত ছিল। তাদের জন্যই সম্প্রতি বাঁধটিতে ছিদ্র দেখা দেয়।

শুধু কাঁকড়া নয়, শিবসেনার এ নেতা দোষ চাপিয়েছেন বৃষ্টিপাতের ওপরও।

একসঙ্গে ১৮ জনের মৃত্যুকে ‘বড় দুর্ভাগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দুই দিন আগে ওই অঞ্চলে প্রবল বর্ষণের কারণে মাত্র আট ঘণ্টায় পানির উচ্চতা আট মিটার বেড়ে গিয়েছিল।  

তানাজি সাওয়ান্ত বলেন, ভেন্দেবাদি হ্যামলেটের বাসিন্দারা আগেই বাঁধে ফাটলের কথা জানিয়েছিলেন। সরকার সে মোতাবেক ব্যবস্থাও নিয়েছিল।

তবে, সরকার দলীয় মন্ত্রীর এসব অজুহাত(!) মানতে নারাজ বিরোধীরা।  

সাবেক মন্ত্রী ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নওয়াব মালিক তানাজির এ বক্তব্যকে ‘নিজ দলের আইনপ্রণেতা, যে আবার ওই বাঁধের ঠিকাদার, তাকে রক্ষায় লজ্জাজনক সমর্থন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আপনি বড় দুর্নীতিবাজ হাঙরকে রক্ষা করতে গিয়ে ছোট কাঁকড়ার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন? এটা মানা যায় না। এ বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করে তাকে শাস্তি দিতে হবে।

তানাজি সাওয়ান্তের ওপর ক্ষেপেছেন রত্নগিরির গ্রাম উন্নয়ন কমিটির প্রধান সুহাস খান্ডাগালেও। তার মতে, মন্ত্রীর বাড়িতে কাঁকড়া নিক্ষেপ করার সময় এসে গেছে।

সুহাস বলেন, কাঁকড়াগুলো যখন বাঁধ খেয়ে ফেলছিল, তিনি (মন্ত্রী) কি সেখানে ‘আন্ডারওয়াটার শ্যুটিং’ করতে গিয়েছিলেন? মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করার শেষ সীমা এটা।

পানি সংরক্ষণ মন্ত্রীর এমন অদ্ভুত(!) অজুহাত নিয়ে ভারতজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।