ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘গ্রাম-গরিব-কৃষক’বান্ধব বাজেট ঘোষণা ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৯
‘গ্রাম-গরিব-কৃষক’বান্ধব বাজেট ঘোষণা ভারতের লাল কাপড়ে মোড়া ফাইল নিয়ে সংসদে বাজেট পেশ করতে এসেছিলেন নির্মলা সীতারাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এ বছরেই ভারত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে- এমন আশাবাদে দেশটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম। এ বাজেটকে ‘গ্রাম-গরিব-কৃষক’বান্ধব হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সংসদে এ বাজেট ঘোষণা করেন সীতারাম। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট উপস্থাপন করেছেন সীতারাম।

প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির বাজেট উপস্থাপন করলেন সীতারাম। তবে দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে ব্রিফকেসের পরিবর্তে লাল কাপড়ে মোড়া একটি ব্যাগে বাজেটের ফাইল নিয়ে সংসদে আসেন তিনি। সীতারাম এর আগে মোদী সরকারের প্রথম মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ভারত অর্থনীতি ‘কৃষিভিত্তিক’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা ও কৃষি পণ্য পরিবহণের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে এই অর্থবছরে।

ভোটের আগের বাজেটে দরিদ্র কৃষকদের মাসে ৬০০ রুপি করে অনুদানের প্রকল্পের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি নয়, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে কৃষির উন্নয়নের চেষ্টা করা হবে।

ঘোষিত বাজেটের ফলে ভারতে দাম বাড়বে পেট্রোল, ডিজেল, স্বর্ণ, আমদানি করা বই, কাজু বাদাম, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, ভিনাইল ফ্লোরিং, টাইলস, মেটাল ফিটিংস, রূপা, ফার্নিচারের কাঁচামাল, অটো পার্টস, মার্বেল স্ল্যাব, সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ও নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার এবং সিগারেটের।

আর কমছে মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, সেট টপ বক্স, ইলেকট্রিক গাড়ি, যন্ত্রাংশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমদানি করা দ্রব্যের দাম।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের আর্থিক ঘাটতি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নামবে। নগদে ব্যবসায়িক লেনদেন কমাতে ব্যাংক থেকে বছরে এক কোটি টাকার বেশি তুললে ২ শতাংশ কর দিতে হবে। যাদের প্যান কার্ড নেই, তারা আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার (জাতীয় পরিচয়পত্র) নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। ৫ লাখ রুপির বেশি আয় হলে কর দিতে হবে নাগরিককে।

যারা বাড়ি কিনতে চাইছেন বাজেটে তাদের জন্য সুখবর দিয়ে সীতারাম বলেন, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ৪৫ লাখ টাকা ঋণের ওপর সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত সুদের কর ছাড় পাবেন ক্রেতা। স্টার্টআপের জন্য দেওয়া তথ্যের ওপর আয়কর তদন্ত হবে না। আর ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে আড়াই লাখ টাকা ঋণের ওপর মিলবে বিশেষ কর ছাড়।

অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়কর সংগ্রহের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়কর সংগ্রহ হয়েছে ১১.৩৭ লাখ কোটি রুপি।

বাজেট বক্তৃতায় জানানো হয়, আগামী ৫ বছরে পরিকাঠামো খাতে ১০০ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে। সরকারি ব্যাংকগুলোকে ৭০ হাজার কোটি রুপি দেওয়া হবে। প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ ও দূষণহীন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া হবে ২০২২ সালের মধ্যে। সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নে বড় অংকের বিনিয়োগের করবে সরকার।

ভারতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ কোটির অর্থনীতিতে পৌঁছাতে ভারতের ৫০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। এখন আমাদের প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। আমরা ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।