পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এ তিনটি কারখানায় তৈরি ক্ষতিকর ক্যামিকেল মেশানো ভেজাল দুধ দেশটির ছয়টি রাজ্য- মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে সরবরাহ করা হতো।
এসটিএফ পুলিশ সুপার রাজেশ ভাদোরিয়া বলেন, অভিযানে ১০ হাজার লিটার ভেজাল দুধ, ৫শ’ কেজি মাওয়া (দুগ্ধজাত পণ্য) ও ২শ’ কেজি পনির জব্দ করা হয়েছে।
এসময় ওইসব কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ তরল ডিটারজেন্ট, পরিশোধিত তেল ও গ্লুকোজ পাউডার উদ্ধার করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতি লিটার ভেজাল দুধ তৈরিতে এর মধ্যে ৩০ শতাংশ দুধ, পরিশোধিত তেল, তরল ডিটারজেন্ট, সাদা রং ও গ্লুকোজ পাউডার মেশানো হতো। একই পদ্ধতিতে ভেজাল পনির বা এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হতো, যা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বড় বড় মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করা হতো।
জানা যায়, প্রতি লিটার ভেজাল দুধ তৈরিতে সর্বমোট খরচ পড়তো ৫ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬.১৩ টাকা), আর বাজারে সেগুলো বিক্রি করা হতো ৪৫ থেকে ৫০ রুপিতে (৬১.৩১ টাকা)। পনিরের (ভেজাল) দাম রাখা হতো প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ রুপি।
অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানান, কারখানা তিনটিতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই টানা কাজ চলতো। প্রতিদিন তারা প্রায় ২ লাখ লিটার ভেজাল দুধ উৎপাদন করতো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশের বেশকিছু কর্মকর্তাও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
একে