কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে যা করার তা যুক্তরাজ্যকেই করতে হবে। পম্পেওর এ ঘোষণা ‘গাছে উঠিয়ে মই কেড়ে নেওয়া’র মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের জন্য।
সোমবার (২২ জুলাই) ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইক পম্পেও পরামর্শ দেন, আটক জাহাজের বিষয়ে যুক্তরাজ্য যেন নিজেরাই পদক্ষেপ নেয়। সাক্ষাৎকারে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয় নাকচ করে দেন তিনি। একইসঙ্গে ইরান ১৭ সিআইএ এজেন্ট গ্রেফতারের যে দাবি করেছে তাও প্রত্যাখ্যান করেন।
সাক্ষাৎকারে ইরানের হাতে আটক হওয়া ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় পম্পেওর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের জাহাজের দেখভালের দায়-দায়িত্ব তাদেরই। আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই অন্য স্বাভাবিক দেশ যেমনটা আচরণ করে ইরানও তেমনটা করুক। আমার মনে হয় তারা এটা বুঝে।
এদিকে একই সাক্ষাৎকারে সিআইএ এজেন্ট গ্রেফতারের যে দাবি ইরান করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পম্পেও। তিনি বলেন, ‘ইরানি ক্ষমতাসীনদের মিথ্যাচারের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। ’
আটক ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে ইরান। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে জিব্রাল্টার উপকূল থেকে ইরানি একটি তেল ট্যাংকার আটক করেছিল যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এইচএডি/