‘উরজাজেট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্টেশন’, যাকে ‘দ্য নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স’ও বলা হয়ে থাকে; সেই বৃহৎ প্রকল্প থেকে এতো পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যে, প্ল্যান্টটির বিদুৎশক্তিতে এককভাবে ইউরোপের রাজধানী শহর প্রাগের সমান একটি অঞ্চল চলবে। এছাড়া মরক্কেশের আকারের মতো দুইটি শহর চলবে এর নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, সৌর বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনে মরক্কো বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী টার্গেট নিয়েছে। দেশটি ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস থেকে মোট চাহিদার ৪২ শতাংশ সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে এই নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স থেকে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য হওয়ার কারণে দেশটিও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আফ্রিকার সবচেয়ে লম্বা প্ল্যান্টটির ২৪৩ মিটার টাওয়ার ধারাবাহিকভাবে মলটেন সল্ট তৈরি করে, যা মেলটেড হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মরক্কোর নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি কোম্পানি এজেন্সি ফর সাসটেনেবল এনার্জির (এমএএসইএন) সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়াসির বাদিহ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মরক্কো একটি উদীয়মান দেশ। এছাড়া বিশ্বে ২০১০ সালের তুলনায় এখন বিদ্যুৎ চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি এড়িয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তিতে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি হতে চাই এবং মরক্কো সেদিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
টিএ