মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বরিস জনসনকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। এর আগে সোমবার (২২ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত জেরেমি হান্ট ও বরিস জনসন- এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একজনকে জয়ী করতে ভোট দেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নিবন্ধিত সমর্থকরা।
এর মধ্যে ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বরিস জনসন। আর ৪৫ হাজার ৫৯৭ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন ব্রিটেনের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬টি। এ নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কনজারভেটিভ পার্টির বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
বুধবার (২৪ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ব্রিটেন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। একইসঙ্গে এ দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পদত্যাগপত্র দেবেন টেরিজা মে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীও রানির সঙ্গে দেখা করবেন এবং এরপর তিনিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও দপ্তর ‘১০ ডাউনিং স্ট্রিট’-এ প্রথম বক্তব্য দেবেন।
এদিকে, বরিস জনসন দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে, তার অধীনে কাজ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
ব্রিটেনের চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। এছাড়া বরিস জনসন কনজারভেটিভ নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এর আগেও অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় জিততে পারেননি দেশটির বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটপন্থী নেতা মাইকেল গোভ তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন বলে। তবে এবার সব বাধা তিনি ভেঙে দিয়েছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে।
আরও পড়ুন>> ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্ব পেতে কারা লড়ছেন, এগিয়ে কে?
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
টিএ