বিশ্বের জনবহুল দেশ চীন। ইতোমধ্যে দেশটি বানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম সেতু, সবচেয়ে বড় ড্যাম, সবচেয়ে বড় কাচের সেতু, সবচেয়ে বড় সোলার প্ল্যান্ট এবং সবচেয়ে বড় বায়ু বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট।
এ প্ল্যান্টের বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। খবরে বলা হয়, চীনের দক্ষিণে শেনঝেন প্রদেশে এ প্ল্যান্ট হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৪৫ স্কয়ার মিটার এলাকাজুড়ে। এটি প্রতিদিন ৫ হাজার টন বর্জ্য পুড়িয়ে বছরে ৫৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। প্ল্যান্টের ৪৪ হাজার স্কয়ার মিটার ছাদজুড়ে থাকবে সোলার প্যানেল। ২০১৬ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া এ প্ল্যান্টটি ২০২০ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেনঝেনে ২০ মিলিয়ন লোকের বাস। তারা প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টন বর্জ্য নিঃসরণ করে। আর প্রতিবছর তা ৭ শতাংশ করে বাড়ছে। এ প্রকল্পটি তাই প্রদেশটির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্ল্যান্টটির নকশা করেছে দু’টি ড্যানিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান। শেনঝেন প্রদেশে যে পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন নিঃসরিত হয়, তার তিনভাগের একভাগ এ প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ-এ রূপান্তরিত করতে পারবে। এ প্ল্যান্ট বর্জ্য থেকে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তেমনই বিদ্যুৎ আসবে ৪৪ হাজার স্কয়ার মিটার ছাদজুড়ে থাকা সোলার প্যানেল থেকেও। যা নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।
যদিও প্রকল্পটি শুরুতেই স্থানীয়দের ব্যাপক বাধার মুখে পড়েছে। তাদের ধারণা এ প্ল্যান্ট নিকটবর্তী জলাধার ও পানি দূষণের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করবে। ইতোমধ্যে বাসিন্দারা আইনি লড়াই শুরু করেছেন যেন এ প্ল্যান্ট শেনঝেনের এমন জায়গায় স্থানান্তর করা হয় যেখানে মানুষের বসবাস কম।
এমনিতে চীন বিশ্বের বুকে নিজেকে মহাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ বর্জ্য বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট উৎপাদনে গেলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় চীনের নামের সঙ্গে যোগ হবে নতুন অর্জনের পালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/