এ সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা এর নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো উৎসে থাকা ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যে কোনো সম্পত্তি জব্দ বলে বিবেচিত হবে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মার্কিন সরকারের এ আদেশের কথা জানায়।
জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মার্কিন কোষাগার বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন ম্নুচিন বলেন, ‘জাভেদ জারিফ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর বেপরোয়া নীতি বাস্তবায়নে কাজ করেন। ’
জাভেদকে ইরান সরকারের ‘প্রধান মুখপাত্র’ হিসেবে অভিহিত করে ম্নুচিন বলেন, ‘(নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে) যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে যে, সাম্প্রতিককালে ইরানের আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ’
এদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে করা এক পোস্টে জাভেদ জারিফ জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, কারণ দেশটি নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে তাকে হুমকি মনে করে।
জাভেদ জারিফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ ‘আমি কিংবা আমার পরিবারের ওপর কোনো প্রভাব রাখবে না, কেননা ইরানের বাইরে আমার কোনো স্বার্থ কিংবা সম্পত্তি নেই। ’
ম্নুচিন ‘প্রধান মুখপাত্র’ শব্দবন্ধ তুলে ধরে উপহাস করে জাভেদ তার পোস্টে লেখেন, নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকে বিশ্বব্যাপী ইরানের ‘প্রধান মুখপাত্র’ বলে অভিহিত করেছে। সত্য কী এমনই তিতা?
‘নিজেদের প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আমাকে এতো বড় হুমকি ঠাওরানোর জন্য শুকরিয়া’, যোগ করেন জাভেদ জারিফ।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পাওয়ার সিক্সের (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি) একটি পরমাণু চুক্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এ দুই দেশের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই জেরে পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালী ঘিরে সামরিক সংঘাতের আশংকা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এইচজে/এইচএ/