শুক্রবার (০২ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৩টা ও সাড়ে ৩টার দিকে জাপান সাগর সংলগ্ন হামগিয়ং প্রদেশের ইয়ংহাং এলাকা থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে পরিকল্পিত সামরিক প্রশিক্ষণের প্রতিক্রিয়ায় কিম জং উনের দেশ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, নতুন প্রযুক্তির এ ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি ভূমি থেকে খুবই কম উচ্চতায়, মাত্র ২৫ কিলোমিটার ওপর দিয়ে ২২০ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে পতিত হয়। তবে এগুলো অত্যধিক মাত্রার দ্রুতগতিসম্পন্ন বলে জানায় তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানান, গত সপ্তাহে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থেকে নতুন এগুলো ভিন্ন প্রযুক্তির হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। এ দফার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নতুন কোনো উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ছোড়া হয়েছে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী সংঘের সিনিয়র সদস্য অঙ্কিত পান্ডা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থবাহী’ আলোচনায় যুক্ত হতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।
আরও পড়ুন>> এক সপ্তাহে ৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উ. কোরিয়া
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এসব দেশ জানায়, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প বন্ধ না করা পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব উৎক্ষেপণ কার্যক্রমকে ‘খুবই মানসম্পন্ন’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এ কার্যক্রম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কিম জং উনের চলমান আলোচনার পথে বাধা নয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এইচজে/টিএ