রোববার (৪ আগস্ট) জাহাজটি আটকে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে তেহরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা।
আইআরজিসি জানায়, তেলবাহী জাহাজটিতে প্রায় সাত লাখ লিটার ফুয়েল রয়েছে।
জাহাজটিতে থাকা সাত ক্রু সদস্যকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশি কোনো জাহাজের বিরুদ্ধে তেল পাচারের অভিযোগ আনলো ইরান। এর আগে ১৩ জুলাই পানামা পতাকাবাহী ‘এমটি রিয়াহ’ নামে আরেকটি জাহাজের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছিল ইরানের কোস্টগার্ড।
এছাড়া গত মাসেই হরমুজ প্রণালীতে ‘স্টেনা ইম্পারো’ নামে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলবাহী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছিল ইরান।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মধ্য দিয়েই জাহাজ আটকে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটলো।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে দেশটির ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরানের তেল বাণিজ্যও।
এর আগে গত মে-জুনেও উপসাগরে দু’বার তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। দু’বারই হামলার পেছনে ইরান রয়েছে বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রতিবারই সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরান। এসব কিছু নিয়েই দেশ দু’টির মধ্যে এখন চলছে ব্যাপক উত্তেজনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এসএ/